বন্যা পরবর্তী সময়ে কৃষক ভাইদের করণীয়চলতি আমন মওসুমে দেশের যেসকল অঞ্চলে বন্যা হয়েছে সেসব এলাকায় বন্যা পরবর্তী সময়ে কৃষক ভাইদের করণীয়-১) বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বা আংশিক হয়েছে এমন জমির ক্ষেত্রে- বন্যার পানিতে ভেসে আসা কচুরিপানা, পলি, বালি এবং আবর্জনা যত দ ্রুত সম্ভব পরিস্কার করতে হবে।বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর ৫-৭ দিন কাদাযুক্ত ধান গাছ পরিস্কার পানি দিয়ে প্রয়োজনে স্প্রে মেশিনদিয়ে ধৌত করে দিতে হবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই সার প্রয়োগ করা ঠিক নয়, এতে ধান গাছ পচে যেতে পারে। বন্যারপানি নেমে যাওয়ার ১০ দিন পর ধানের চারায় নতুন পাতা গজানো শুরু হলে বিঘা প্রতি ৮ কেজি ইউরিয়াও ৮ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।২) উঁচু জমিতে যেখানে বন্যার পানি উঠেনি সেখানে রোপণকৃত বাড়š Í আমন ধানের গাছ (রোপণের ৩০-৪০ দিন পর)থেকে ২-৩ টি কুশি রেখে বাকি কুশি সযতে œ শিকড়সহ তুলে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অন্য ক্ষেতে রোপণ করা যেতে পারে।৩) যেসব এলাকায় বন্যায় উঁচু জমি তলিয়ে যাওয়ার কারণে বীজতলা করা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে ভাসমান অথবা দাপোগবীজতলা ক্সতরি করে চারা উৎপাদন করা যেতে পারে।৪) বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ব্রি উদ্ভাবিত আলোক সংবেদনশীল উফশী জাত যেমন- বিআর৫, বিআর২২,বিআর২৩, ব্রি ধান৩৪, ব্রি ধান৪৬, ব্রি ধান৫৪ এবং নাইজারশাইলসহ স্থানীয় জাতসমূহ রোপণ করতে হবে। এছাড়া,ব্রি উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন জাত ব্রি ধান৫৭ ও ব্রি ধান৬২ও রোপণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ৩০ আগস্টপর্যš Í বীজতলা করা যাবে। তবে উলি øখিত জাতসমূহ নাবীতে রোপণের ক্ষেত্রে প্রতি গোছায় চারার সংখ্যা ৪-৫ টি এবং রোপণ দূরত ¡২০দ্ধ১৫ সে.মি.। বিলম্বে রোপণের ফলে দ্রুত কুশি উৎপাদনের জন্য সুপারিশকৃত এমওপি, টিএসপি, জিপসাম ও জিংকসহ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) ইউরিয়া জমি ক্সতরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। অবশিষ্ট ইউরিয়া রোপণের ২৫-৩০দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে।৫) যেসব এলাকা পুনরায় বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম (উঁচু ও মধ্যম উঁচু) সেসব জমিতে অঙ্কুরিত বীজসরাসরি জমিতে ছিটিয়ে বপন করা যায়। সেক্ষেত্রে রোপণ পদ্ধতির চেয়ে ৫-৭ দিন আগাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।৬) বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া ধান গাছের যাবতীয় পরিচর্যা যেমন- আগাছা দমন, পোকা মাকড় ও রোগাক্রমণথেকে ফসল রক্ষা, সুষম পরিমাণে সার প্রয়োগ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।৭) বন্যা পরবতর্ ীতে চারাগাছ সম্পূূণর্ ভাবে মাটিতে লেগে যাওয়ার সাথে সাথে ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতা পোড়া রোগেরপ্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে সেক্ষেত্রে ৬০ গ্রাম থিওভিট ও ৬০ গ্রাম পটাশ সার ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশজমিতে স্প্রে করতে হবে।৮) বন্যা পরবতর্ ী সময়ে গাছে মাজরা, বাদামি ও সাদা-পিঠ গাছ ফড়িং, পাতা মোড়ানো এবং পামরি পোকার আক্রমণেরহাত থেকে রক্ষার জন্য পোকা বিশেষে হাত জাল, পার্চিং এবং প্রয়োজন হলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করাযেতে পারে।৯) দেশের উত্তরাঞ্চলে আগাম শীত আসার কারণে ১৫ সেপ্টেম্বর এবং মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে ২০ সেপ্টেম্বরের পর আমনধান রোপণ করা উচিৎ নয়। এক্ষেত্রে আগাম রবি ফসলের আবাদ করা যেতে পারে।
উত্তর সমূহ
বন্যা পরবর্তী সময়ে কৃষক ভাইদের করণীয়চলতি আমন মওসুমে দেশের যেসকল অঞ্চলে বন্যা হয়েছে সেসব এলাকায় বন্যা পরবর্তী সময়ে কৃষক ভাইদের করণীয়-১) বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বা আংশিক হয়েছে এমন জমির ক্ষেত্রে- বন্যার পানিতে ভেসে আসা কচুরিপানা, পলি, বালি এবং আবর্জনা যত দ ্রুত সম্ভব পরিস্কার করতে হবে।বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর ৫-৭ দিন কাদাযুক্ত ধান গাছ পরিস্কার পানি দিয়ে প্রয়োজনে স্প্রে মেশিনদিয়ে ধৌত করে দিতে হবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই সার প্রয়োগ করা ঠিক নয়, এতে ধান গাছ পচে যেতে পারে। বন্যারপানি নেমে যাওয়ার ১০ দিন পর ধানের চারায় নতুন পাতা গজানো শুরু হলে বিঘা প্রতি ৮ কেজি ইউরিয়াও ৮ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।২) উঁচু জমিতে যেখানে বন্যার পানি উঠেনি সেখানে রোপণকৃত বাড়š Í আমন ধানের গাছ (রোপণের ৩০-৪০ দিন পর)থেকে ২-৩ টি কুশি রেখে বাকি কুশি সযতে œ শিকড়সহ তুলে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অন্য ক্ষেতে রোপণ করা যেতে পারে।৩) যেসব এলাকায় বন্যায় উঁচু জমি তলিয়ে যাওয়ার কারণে বীজতলা করা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে ভাসমান অথবা দাপোগবীজতলা ক্সতরি করে চারা উৎপাদন করা যেতে পারে।৪) বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ব্রি উদ্ভাবিত আলোক সংবেদনশীল উফশী জাত যেমন- বিআর৫, বিআর২২,বিআর২৩, ব্রি ধান৩৪, ব্রি ধান৪৬, ব্রি ধান৫৪ এবং নাইজারশাইলসহ স্থানীয় জাতসমূহ রোপণ করতে হবে। এছাড়া,ব্রি উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন জাত ব্রি ধান৫৭ ও ব্রি ধান৬২ও রোপণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ৩০ আগস্টপর্যš Í বীজতলা করা যাবে। তবে উলি øখিত জাতসমূহ নাবীতে রোপণের ক্ষেত্রে প্রতি গোছায় চারার সংখ্যা ৪-৫ টি এবং রোপণ দূরত ¡২০দ্ধ১৫ সে.মি.। বিলম্বে রোপণের ফলে দ্রুত কুশি উৎপাদনের জন্য সুপারিশকৃত এমওপি, টিএসপি, জিপসাম ও জিংকসহ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) ইউরিয়া জমি ক্সতরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। অবশিষ্ট ইউরিয়া রোপণের ২৫-৩০দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে।৫) যেসব এলাকা পুনরায় বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম (উঁচু ও মধ্যম উঁচু) সেসব জমিতে অঙ্কুরিত বীজসরাসরি জমিতে ছিটিয়ে বপন করা যায়। সেক্ষেত্রে রোপণ পদ্ধতির চেয়ে ৫-৭ দিন আগাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।৬) বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া ধান গাছের যাবতীয় পরিচর্যা যেমন- আগাছা দমন, পোকা মাকড় ও রোগাক্রমণথেকে ফসল রক্ষা, সুষম পরিমাণে সার প্রয়োগ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।৭) বন্যা পরবতর্ ীতে চারাগাছ সম্পূূণর্ ভাবে মাটিতে লেগে যাওয়ার সাথে সাথে ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতা পোড়া রোগেরপ্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে সেক্ষেত্রে ৬০ গ্রাম থিওভিট ও ৬০ গ্রাম পটাশ সার ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশজমিতে স্প্রে করতে হবে।৮) বন্যা পরবতর্ ী সময়ে গাছে মাজরা, বাদামি ও সাদা-পিঠ গাছ ফড়িং, পাতা মোড়ানো এবং পামরি পোকার আক্রমণেরহাত থেকে রক্ষার জন্য পোকা বিশেষে হাত জাল, পার্চিং এবং প্রয়োজন হলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করাযেতে পারে।৯) দেশের উত্তরাঞ্চলে আগাম শীত আসার কারণে ১৫ সেপ্টেম্বর এবং মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে ২০ সেপ্টেম্বরের পর আমনধান রোপণ করা উচিৎ নয়। এক্ষেত্রে আগাম রবি ফসলের আবাদ করা যেতে পারে।